
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ | 58 বার পঠিত | প্রিন্ট
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি বাড়ছে, এর ইঙ্গিত মিলেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে মোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন ও কার্যক্রমের প্রতিবেদন (STR/SAR) জমা পড়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২২.৯৬ শতাংশ বা ৩ হাজার ২৩৯টি বেশি।
বিএফআইইউ জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি একাধিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ সময়কালে বিএফআইইউ এর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিএফআইইউ’র প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম রিপাের্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহ থেকে বিএফআইইউতে দাখিলকৃত বিভিন্ন রিপাের্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহ বিএফআইইউতে সর্বমােট ১৭,৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম প্রতিবেদন (এসটিআর/এসএআর) দাখিল করেছে।
এটি পূর্ববর্তী ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার ২৩৯টি বা ২২.৯৬ শতাংশ বেশি। এটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপাের্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সচেতনতা এবং বিএফআইইউ এর সত্রিয় ভূমিকা ও কর্মতৎপরতার প্রতিফলন বলে জানান তিনি।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ১০৬টি। যা তার আগের বছর থেকে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছিল ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫৩৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি এবং ২০২০-২১ ছিল ৫ হাজার ২৮০টিতে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৩ হাজার ৫৭৩টি।
বিএফআইইউর প্রধান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় প্রেরণ করে। এছাড়া, বিএফআইইউ বিভিন্ন আইন প্রয়াোগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ১৩.৯১ শতাংশ বেশি। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে বিএফআইইউ তদন্তকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
Posted ১:৩৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.