
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ | 40 বার পঠিত | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য ঘোষিত কর ছাড়, তালিকাভুক্তির উৎসাহ এবং নীতিগত প্রণোদনা বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএসই জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটে (উপস্থাপিত ২ জুন) শেয়ারবাজার উন্নয়নে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা বাজারে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বাজেটে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা:
১. তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ৫% থেকে বাড়িয়ে ৭.৫% করা হয়েছে, যা তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ জোগাবে।
২. মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭.৫% থেকে কমিয়ে ২৭.৫% নির্ধারণ করা হয়েছে, এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর করের চাপ কমবে।
৩. লেনদেন পর্যায়ে উৎসে কর ০.০৫% থেকে কমিয়ে ০.০৩% করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বস্তিদায়ক।
সিএসই জানিয়েছে, এসব উদ্যোগ ভালো মানের কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তিকে ত্বরান্বিত করবে এবং বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয় হ্রাসে সহায়ক হবে।
যদিও সরাসরি নতুন কোনো প্রণোদনা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বাজেটে আসেনি, তবুও ২০২৩ সালের একটি নির্দেশনার আওতায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার থেকে অর্জিত ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনি আয় করমুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৫০ লাখ টাকার বেশি আয়ের ওপর করহার ১৫ শতাংশে কমানো হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি বিও অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ ফি ৭৫ শতাংশ কমানো এবং সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ডে ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে সিএসই।
ভাই-বোনকে শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে করমুক্ত দানের সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।
ট্রেজারি বিল ও বন্ডে উৎস কর দ্বিগুণ করায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।
সিএসই বলেছে, স্পনসর ও পরিচালকদের শেয়ার হস্তান্তরে উৎসে কর ৫% থেকে ১৫% বৃদ্ধি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করতে পারে। তারা এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ঘোষিত ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর সম্পূর্ণ করমুক্তির প্রস্তাব না থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়নি। তদ্ব্যতীত, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ শেয়ারবাজারে দিলে তা বাজারে গতি ফেরাতে পারত বলে মন্তব্য করেছে সিএসই।
সিএসই আরও জানায়, সম্প্রতি বিএসইসি “চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (কমোডিটি ডেরিভেটিভ) প্রবিধানমালা, ২০২৫” অনুমোদন করায় দেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর পথ তৈরি হয়েছে। সরকারের কর অবকাশ সুবিধা দিলে এ খাত দ্রুত বিকশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তারা।
শেষে সংস্থাটি বলেছে, বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে কৌশলগত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।
Posted ৮:০০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.