নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০১ আগস্ট ২০২১ | 1152 বার পঠিত | প্রিন্ট
মাঝে মধ্যে দেখা যায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর টানা অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে শোকজ করে। কোম্পানিগুলোও বরাবরের মতো জবাব দেয়া যে, দর বাড়ার কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য তাদের কাছে নেই। এরপর হয়তো দুই/একদিন কোম্পানিটির দর কিছুটা কমে যায়। পরবর্তীতে আবারও একইভাবে দর বাড়তে থাকে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সার্বিক বাজার চিত্রে।
ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়াটা স্বাভাবিক বলে ধরা যায়। কিন্তু দেখা যায়, দুর্বল, স্বল্প মূলধনী এবং ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরই প্রায় সময় অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে তদন্ত নোটিশ পাঠানো হয়ে থাকে। তার মানে হচ্ছে এসব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার পেছনে একটি চক্র কলকাঠি নাড়ে। এ চক্রটির টার্গেটই থাকে স্বল্প মূলধনী ও দুর্বল কোম্পানির দিকে। কারণে স্বল্পমূলধনীর হওয়ায় কোম্পানির মুলধন শেয়ার সংখ্যাও থাকে তুলনামুলকভাবে কম। যে কারণে এর অধিকাংশ শেয়ার ক্রয় করে এর দর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় চক্রটি। পরবর্তীতে তাদের ইচ্ছেমতো কোম্পানিটির দর নিয়ন্ত্রণ করে। তারা এর দর কৌশলে গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে বাড়িয়ে থাকে। তাদের গুজবের কারণে বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়ে ওই শেয়ার বিনিয়োগ করে পুঁজিকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। আর লাভবানহ হয় চক্রটি।
শেয়ারের এ কারসাজির পেছনে কখনো কখনো সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোও জড়িত থাকে। শুধুমাত্র কোম্পানিগুলোকে দায়সাড়া তদন্ত নোটিশ দিয়ে এসব অস্বাভাবিক হারে দর বাড়ার প্রবণতা বন্ধ হবেনা। কোম্পানিগুলোকে শোকজ করার পাশাাপাশি ওইসব শেয়ারে বড় আকারে যারা বিনিয়োগ করেছে তাদেরকেও শোকজের আওতায় আনতে হবে। পুঁজিবাজারে এত ভালো ভালো কোম্পানি থাকা সত্বেও কেন তারা স্বল্পমূলধনী, দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করছে। এর যথাযথ জবাব সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া, কোনো কোম্পানির দর অস্বাভাবিক হারে এক টানা কমলেও কোম্পানিগুলোকে তদন্ত নোটিশ পাঠাতে হবে। পাশাপাশি যারা বড় আকারে শেয়ার ছেড়ে দেয় তাদেরকেও শোকজের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি গুজব বন্ধে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই, শুধু শোকজে সীমাবদ্ধ না থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া হলেই কেবল কারাসাজি বন্ধ হতে পারে শেয়ারবাজারে। এতে বাজারে স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে বলে মনে করছি। তাই দায়সারা শোকজ নয়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ও বাজারের উন্নয়নে কার্যকরি ব্যবস্থা চাই।
শেয়ারবাজার২৪
Posted ১১:৩৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ আগস্ট ২০২১
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.