| রবিবার, ২০ জুন ২০২১ | 484 বার পঠিত | প্রিন্ট
২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনা বিস্তার ঘটে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার মার্চের ২৬ তারিখ থেকেই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়, টানা ২ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর কিছুটা শিথিল করা হয়। ধিরে ধিরে সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকে। যদিও করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে উন্নতি হয়নি।
লকডাউনের কারণে সরকারি-বেসরাকি সব শিল্প কারাখানা বন্ধ থাকে। এর ফরে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চরমভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বস্ত্র খাত। এ খাতের সাথে জড়িত গার্মেন্টস শিল্পের ব্যবসায় অবনতি ঘটে। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে বৈরি পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশের পোশাক খাত থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কারণে একের পর এক অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। এরপরও বস্ত্র খাতের অনেক কোম্পানির মুনাফা বেড়ে যায়। আবার অনেক কোম্পানি লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় ফিরে আসে। অথচ করোনার আগে কোম্পানিগুলো মুনাফা না করে লোকসানে ছিল। কিন্তু করোনার মধ্যে বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলো কিভাবে মুনাফা করে সেটাই প্রশ্ন।
সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মনে করছেন কোম্পানিগুলো যে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে তা ভুয়া। তা-না হলে করোনায় বন্ধ থাকা কোম্পানিতে কিভাবে মুনাফা হয়েছে। করোনার আগে মুনাফা হয়নি কেন?
জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৫৬ টি কোম্পানির মধ্যে ৪২ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৩ কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো- আমান কটন ফাইবার্স, অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস, আরগন ডেনিমস, এভিন্স টেক্সটাইলস, এইচ আর টেক্সটাইল, হাওয়েল টেক্সটাইলস, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, মতিন স্পিনিং মিলস, মেট্রো স্পিনিং, নিউ লাইন ক্লথিংস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস, সায়হাম টেক্সটাইল মিলস এবং স্কয়ার টেক্সটাইল।
করোনাকালীন সময়েও লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় ফিরেছে বস্ত্র খাতের ৯ কোম্পানি। এগুলো হলো- আলহাজ টেক্সটাইল, আনলিমা ইয়ার্ন, জেনারেশন নেক্সট, মালেক স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং, রহিম টেক্সটাইল, সাফকো স্পিনিং এবং তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ। দেশে করোনা পরিস্থিতির আগে এসব কোম্পানি গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেখিয়েছিল।
বিনিয়োগকারীরা যাতে সঠিক তথ্য জানতে পারে সে বিষয়ে বিবেচনা করে কোম্পানিগুলোর প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা হোক।
Posted ১২:০০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২০ জুন ২০২১
sharebazar24 |
.
.