
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ | 49 বার পঠিত | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ১৭টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ছাড়িয়েছে। মাত্র একটি শাখাতেই ইসলামী ব্যাংক, যা একসময় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ছিল, তার আর্থিক সংকটে পড়ে গেছে।
তবে ব্যাংকটি বর্তমানে খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য একাধিক আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে তোলা এবং চেক প্রতারণার মামলায় রেকর্ডসংখ্যক রুজু।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাংকটি বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছে এবং চেকের বিপরীতে চট্টগ্রামের আদালতে ১০১টি সিআর মামলা দায়ের করেছে। তবে ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র আশঙ্কা করছে যে, নিলামে ওঠা সম্পত্তিগুলো থেকে খেলাপি ঋণের ১০ শতাংশও আদায় সম্ভব হবে না।
চেক ও এফডিআর লিয়েনের বিপরীতে ঋণের ৪০ শতাংশ আদায়ের সম্ভাবনা থাকলেও, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বিএফআইইউ দ্বারা ফ্রিজ করা এফডিআরগুলোর কারণে সেগুলো থেকেও অর্থ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সূত্রমতে, ফ্রিজকৃত এফডিআরের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
এস আলম গ্রুপের খেলাপি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঋণের পরিমাণ:
এস আলম ভেজিটেবল অয়েল: ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি
এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড: ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা
মেসার্স আদিল করপোরেশন: ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা
সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড: ৯০১ কোটি টাকা
বিচারিক কার্যক্রম ও নিলাম: চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিদিনই এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা চলছে। এসব মামলার মোট দাবিকৃত টাকার পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এছাড়া, ইসলামী ব্যাংক স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তোলার মাধ্যমে অর্থ উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। ব্যাংকটি ইতোমধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যাতে নিলাম এবং ঋণ আদায়ের উদ্দেশ্যে সম্পত্তি বিক্রির তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
Posted ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.