শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতভুক্ত ৪২টি কোম্পানির মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫) আয় প্রকাশ করেছে ৩৫টি। এর মধ্যে ২২টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিএস কমেছে যেসব কোম্পানির:

ইস্টার্ন ক্যাবল, রানার অটোমোবাইলস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস, আজিজ পাইপস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, মীর আখতার হোসেন, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস), এসএস স্টিল, এটলাস বাংলাদেশ, ন্যাশনাল টিউবস, বিবিএস ক্যাবলস, ন্যাশনাল পলিমার, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, দেশবন্ধু পলিমার, কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ, গোল্ডেনসন, জিপিএইচ ইস্পাত, আফতাব অটোমোবাইলস, সিঙ্গার বাংলাদেশ, ওয়ালটন হাইটেক এবং কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।

কোম্পানিভিত্তিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

• ইস্টার্ন ক্যাবল: তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ১.৩১ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য উন্নতি। তবে ৯ মাসে লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৪৫ টাকায়।

• রানার অটোমোবাইলস: তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৪৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.৩৫ টাকা লোকসান। তবে ৯ মাসে ইপিএস মাত্র ৭ পয়সা।

• রেনউইক যজ্ঞেশ্বর: এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৯.০৫ টাকা; আগের বছর ছিল ২.৮৬ টাকা। ৯ মাসে লোকসান বেড়ে হয়েছে ১৫.৬১ টাকা।

• ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস: তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ২০ পয়সা; আগের বছর ছিল ৩৭ পয়সা।

• আনোয়ার গ্যালভানাইজিং: এবার লোকসান ১.২৯ টাকা, যেখানে আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ১.৩৫ টাকা।

• ওয়ালটন হাইটেক: ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছে ১২.৯৪ টাকা (তৃতীয় প্রান্তিকে), আগের বছর ছিল ১৩.৯৩ টাকা।

• সিঙ্গার বাংলাদেশ: লোকসান বেড়ে ৩.৫০ টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের বছরের ২১ পয়সার চেয়ে অনেক বেশি।

• কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ: ইপিএস ২২ পয়সা, যা আগের বছরের ২৪ পয়সার চেয়ে কম।

সারসংক্ষেপ:

তৃতীয় প্রান্তিকে বেশিরভাগ কোম্পানির আয় কমে যাওয়ায় প্রকৌশল খাতে কিছুটা চাপের ইঙ্গিত মিলেছে। তবে কিছু কোম্পানির লোকসান কমেছে বা মুনাফা বেড়েছে, যা সামগ্রিক চিত্রে কিছুটা ইতিবাচক দিক দেখায়।