রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজার উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ | 208 বার পঠিত | প্রিন্ট

শেয়ারবাজার উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ

দেশের শেয়ারবাজার উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ২৩টি কোম্পানির সামগ্রিক কার্যক্রম পরিদর্শন ও যাচাই করার জন্য দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-কে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো- অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, আরামিত সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, বাংলাদেশ সার্ভিসেস, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং, বিআইএফসি, জিবিবি পাওয়ার, ইনটেক লিমিটেড, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, নুরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, পিপলস লিজিং, রেনউইক জাজনেশ্বর, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রিং শাইন টেক্সটাইল, আরএসআরএম, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, সাফকো স্পিনিংস, শুহ্নদ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড।

কোম্পানিগুলো কেন বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন দিতে পারছে না এবং সময়মতো বার্ষিক সাধারণ সভা করতে পারছে না, তা খতিয়ে দেখবে ডিএসই। ডিএসইর পরিদর্শন প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিএসইসি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিএসইসি’র আদেশে বলা হয়েছে, এসব কোম্পানি যথাসময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা করতে ব্যর্থ হয়েছে, টানা দুই বছর ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে অবহেলা করেছে, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এবং পুঞ্জীভূত লোকসান বা ঋণাত্মক আয় পরিশোধিত মূলধনের বেশি, যেগুলো সাধারণভাবে জাঙ্ক শেয়ার হিসাবে বিবেচিত।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি তালিকাভুক্তির পর থেকেই বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। এরমধ্যে রয়েছে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ।

এছাড়া, অ্যাপেলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ঋণ পরিশোধের জন্য ২০১৩ সালে শেয়ারবাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। লোকসানে থাকা কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর শুধুমাত্র এক বছর বিনিয়োগকারীদের ৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

ফেনীতে অবস্থিতসোয়েটার রপ্তানিকারক কোম্পানি নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার ২০১৭ সালে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। ডিএসইর পরিদর্শন ও তদন্তে দেখা গেছে, আইপিও তহবিলের ৪১ কোটি টাকার বেশি উদ্যোক্তারা আত্মসাৎ করেছে, যারা পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এটিও তালিকাভুক্তির পর এক বছর ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সমস্যাগ্রস্ত একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। চার বছর পর চলতি মাসে আবার লেনদেনে ফিরেছে। এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই ডিএসই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয়।

শেয়ারবাজার২৪

Facebook Comments Box

Posted ৪:২৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

sharebazar24 |

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
মো. সিরাজুল ইসলাম সম্পাদক
মো. মহসিন হোসেন উপদেষ্টা সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

৬০/১, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

হেল্প লাইনঃ 01742-768172

E-mail: [email protected]