নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪ | 160 বার পঠিত | প্রিন্ট
পিই রেশিও বিবেচনায় সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত ও বিনিয়োগ অনুকুলে আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড। বর্তমানে কোম্পানিটির রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন চলছে। কোম্পানিটির রাইট শেয়ার আবদেন শুরু হয়েছে গত ২৪ মার্চ থেকে এবং চলবে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট ছিল গত ০৭ মার্চ।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটির পিই রেশিও ৮.০০ পয়েন্ট, যা বিনিয়োগের জন্য খুবই অনুকুলে। গত দুই বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। গত ২ বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ার দর ছিল ৮৬ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমানে যার প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩৭ টাকা ৯০ পয়সায়।
কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ১৮ সালে ও ২০২০ সালে প্রতিবছর ১০ শতাংশ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিটি ২০১৯ সালে ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৬ শতাংশ স্টক সহ মোট ১২ শতাংশ, ২০২১ সালে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রতিবছর ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টকসহ ১০ শতাংশ করে এবং ২০২৩ সালে ১১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
২০১৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি ৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
এদিকে, কোম্পানিটি রাইট শেয়ারের মাধ্যমে পরিশোধিত মুলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটির রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির ৯০০ তম সভায় কোম্পানিটির রাইট শেয়ারের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কোম্পানিটি ২০ টাকা প্রিমিয়ামে অর্থাৎ ৩০ টাকায় ১:২ অনুপাতে ৩ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩ হাজার ৩০৪টি সাধারণ শেয়ার রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ১২০ টাকা উত্তোলন করবে।
কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ঋণ পরিশোধ, নেটওয়ার্ক সিস্টেম আপগ্রেডেশন, নেটওয়ার্ক কভারেজ সম্প্রসারণ ও রাইট ইস্যু সংক্রান্ত খরচে ব্যবহার করবে।
রাইটস শেয়ার ডকুমেন্ট অনুযায়ী ৩০ শে জুন, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য ৩৮ টাকা ১১ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি আয় ৩ টাকা ৬৪ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর‘২৪ পর্যন্ত গত ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১৩ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরি প্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৩৯ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর সম্পদমূল্যের নিচে অবস্থান করছে। যে কারণে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগে লোকসানের আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, পিই রেশিও বিবেচনায় কোম্পানিটি যেমন বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত উপযোগী, তেমনি সম্পদমূল্যের তুলনায় কম হওয়া আরো বেশি লাভবান হতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া, রাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটির মূলধন বাড়ার পর কোম্পানিটির আরো উন্নতি হবে। এর ফলে কোম্পানিটি ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিমাণে ডিভিডেন্ড দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ৯ কোটি ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯১২টি শেয়ারের মধ্যে ৩৩.০৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৩.৬৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৪৩.৬৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
শেয়ারবাজার২৪
Posted ১০:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.