নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | 161 বার পঠিত | প্রিন্ট
উত্থানের বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির দাপট বড় দরপতনের পূর্বাভাস বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, বাজারে একটি চক্র সব সময়ই দুর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করে থাকে। যে কারণে ভালো কোম্পানির তুলনায় দুর্বল কোম্পানিগুলোর দর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়।
দুর্বল কোম্পানির দর ও লেনদেন বৃদ্ধির কারণে বাজার স্থায়ী স্থিতিশীল হতে পারছেনা। বর্তমান বাজারে ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানির দাপট বড় দরপতনের পূর্বাভাস দিচ্ছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ধারাবাহিক দরপতনের পর উত্থানে ফিরিছে দেশের শেয়ারবাজার। আজসহ গত ৪ কার্যদিবস ধরেই ধারাবাহিকভাবে সূচকের উত্থানে হয়েছে।
তবে এই উত্থানের বাজারে ভালো কোম্পানির তুলনায় ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানিগুলোর দাপটই ছিল উল্লেখযোগ্য।
প্রতিদিনই দর বৃদ্ধির তালিকায় ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির আধিপত্য দেখা যায়। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরু থেকেই সূচকের একটানা উত্থান দেখা গেছে।
যে কারণে সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে।
আজ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর বৃদ্ধির তালিকায় ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টিই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানি।
কোম্পানিগুলো হলো- নাভানা সিএনজি, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম,দেশভন্ধু পলিমার, মাইডাস ফাইন্যান্স, খুলনা প্রিন্টিং, ঢাকা ডাইং এবং প্যাসিফিক ডেনিমস।
পিই রেশিও কোম্পানিগুলো বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ বলে বিবেচিত।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাভানা সিএনজির শেয়ার দর বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ১০.০০ শতাংশ।
এদিন কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৯ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ২৯৭ পয়েন্ট।
আর ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৯৪ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক এক্সেসরিজ।
আজ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৮ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেখানোর কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে।
তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ৯.৯৩ শতাংশ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৪০ পয়সায়।
প্রথম প্রান্তিকে লোকসান দেখানোর কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে।
এরপর তালিকায় থাকা দেশবন্ধু পলিমারের ৯.৯২ শতাংশ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৩০.২৯ পয়েন্ট।
তালিক ষষ্ঠ স্থানে থাকা মাইডাস ফাইন্যান্সের ৯.৯০ শতাংশ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেখানোর কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে।
খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৯.৮৯ শতাংশ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। সর্বশেষ প্রান্তিকে লোকসান দেখানোর কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে।
এছাড়া কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
ঢাকা ডাইংয়ের ৯.৮৩ শতাংশ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায়।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেখানোর কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে।
তালিকার দশম স্থানে অবস্থান করা প্যাসিফিক ডেনিমসের ৯.৭৯ শতাংশ দর বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭০ পয়সায়।
বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৩০.৮৩ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের শেয়ারবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন ও লাভজনক কোম্পানির অভাব নেই। যে কোম্পানিগুলো প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য হারে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে। অথচ সেই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর না বেড়ে বাড়ছে অত্যন্ত দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির শেয়ার দর। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক নয়। বাজারের এমন চিত্র হতাশাজনক। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত সততার সাথে বাজার মনিটরিং করা। যে চক্রটি এই বাজারে দুর্বল শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে বাজারকে তলানীতে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
শেয়ারবাজার২৪
Posted ৫:০৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.