শনিবার ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন শুরু আগামীকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | 111 বার পঠিত | প্রিন্ট

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন শুরু আগামীকাল

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এশিয়াটিক ফার্মার আবেদন শুরু হচ্ছে আগামীকাল। যা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যে কোম্পানিটিকে আইওয়াশের জন্য জরিমানা করে ছিল পাপমুক্তির পূর্বপরিকল্পনা মাত্র। এরপর বিশেষ ব্যবস্থায় কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

জানা গেছে, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের স্থায়ী সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম খুঁজে পায় বিএসইসি। এছাড়া ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলও (এফআরসি) খুঁজে পায় নানা অপকর্ম। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করতে এতোটাই অনিয়ম করেছে যে, যা কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাতিলের জন্য যথেষ্ট ছিল। এই অবস্থায় আইপিও বাতিল ঠেকাতে অবৈধ পথে নেমেছিল এশিয়াটিক কর্তৃপক্ষ।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ২সিসি এর অধীনে ১১ নং শর্তে বলা হয়েছে, আইপিও আবেদনে যেকোন ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রদান আইপিও বাতিল হওয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। এছাড়া আবেদনের ২৫ শতাংশ অর্থ বা শেয়ার ক্ষতিপূরণন দেবে। যা বিএসইসির হিসাবে জমা করা হবে। এছাড়াও আইন দ্ধারা অন্যান্য শাস্তি প্রদান করা হতে পারে।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের অসংখ্য অনিয়ম ও মিথ্যা তথ্যের কারণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ২সিসি এর অধীনে ১১ নং শর্ত অনুযায়ি আইপিও বাতিলের যোগ্য। এছাড়া সম্প্রতি বিএসইসি এমন অনিয়মের কারণে কিছু কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিলও করেছে।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনের শুরুতে অসংখ্য কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়। কোনো একটি কোম্পানিকে ভুল বা অনিয়মের দায়ে শাস্তি দিয়ে আইপিও দেওয়া হয়নি। সেই কমিশন একটি দূর্বল কোম্পানিকে আর্থিক জরিমানা করে আইপিওটি চলমান রেখেছে। যা নিয়ে শেয়ারবাজারে চলছে নানা রকম রসালো আলোচনা-সমালোচনা।

রিং সাইনের ন্যায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজেও আইপিওতে আসার আগে ছিল বিতর্কিত বড় ধরনের শেয়ার মানি ডিপোজিট। যেগুলোকে আইপিওতে আবেদনের আগে শেয়ারে রুপান্তর করা হয়েছে। যেমনটি করা হয়েছিল রিং সাইনের ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শেয়ার মানি ডিপোজিটবাবদ অর্ধেকের বেশি টাকা জমা দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে বিক্রির টাকা বা অন্যকোন কারনে কোম্পানিতে ঢুকা অর্থকে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে দেখানো হয়েছিল। যার প্রকৃত ঘটনা এখন বেরিয়ে এসেছে।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজে ৯৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনকে ৮০ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ারে রুপান্তরের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ৮১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা করা হয়। এর উপরে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার বোনাস শেয়ার দিয়ে পরিশোধিত মূলধন করা হয়েছে ৮৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

 

শেয়ারবাজার২৪

Facebook Comments Box

Posted ৭:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

sharebazar24 |

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
মো. সিরাজুল ইসলাম সম্পাদক
মো. মহসিন হোসেন উপদেষ্টা সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

৬০/১, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

হেল্প লাইনঃ 01742-768172

E-mail: [email protected]