বুধবার ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারভিডার সংবাদ সম্মেলন

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মাইক্রোবাস এর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার এবং হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাস দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | 76 বার পঠিত | প্রিন্ট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মাইক্রোবাস এর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার এবং হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাস দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও বারভিডা জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক-কর হার পুনর্বিন্যাসের আহবান জানিয়েছে। বারভিডা দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় রাজস্ব প্রদানকারী খাত হিসেবে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রাপ্তির মাধ্যমে সরকারকে আরও রাজস্ব প্রদানেরও সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছে। বিগত কয়েক বছরে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার চাহিদা থাকা সত্বেও দেশে রিকন্ডিশন্ড যান আমদানি ও বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। এ প্রেক্ষিতে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি খাত একটি চ্যালেঞ্জপূর্ণ পরিস্থিতিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে যথাযথ নীতি সহায়তা কামনা করছে। আজ (২৬-৪-২০২৫) সকালে স্থানীয় এক হোটেলে বারভিডা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জনাব আবদুল হক এসব বক্তব্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল এবং কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন যে, প্রায় ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে বারভিডা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে জাপানের বিশ্বখ্যাত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দেশের পরিবহন খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন যে, বারভিডা সদস্যবৃন্দ যেভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তা এক ধরনের সোশাল বিজনেস, যেখানে কোন মনোপলি নেই। দেশের পরিবহন খাতের সুষ্ঠু বিকাশে সহযোগিতা প্রদান, গাড়ি আমদানি ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় বিপুল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান এর পাশাপাশি এতে ভোক্তাদের বহুমুখী চাহিদা পূরণ হচ্ছে এবং সরকারও রাজস্ব প্রাপ্তির মাধ্যমে সুফল পাচ্ছে। অর্থাৎ এখানে একটা বড় অর্থনীতি জড়িত। অপরদিকে দেশে নতুন গাড়ি আমদানি ও বিক্রির ক্ষেত্রে গুটিকয় ডিলার থাকায় এক্ষেত্রে মনোপলি কাজ করছে।
বারভিডা আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এবং দেশে আমদানি করা নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি’র মধ্যে বিআরটিএ’তে যথেষ্ট বৈষম্য রয়েছে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বেশি হওয়ায় বারভিডা এ বৈষম্য দূর করার জোর দাবি জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন যে, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব হাইব্রিড গাড়িগুলোর সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস করা হলে এসব গাড়ি আমদানি সহজলভ্য হবে এবং বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারে রাজস্ব আয় বাড়বে। সংবাদ সম্মেলনে গণপরিবহন হিসেবে বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোবাস এর সম্পূরক শুল্ক সম্পুর্র্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়, যাতে দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রয়োজনীয় এই বাহনটি ক্রেতার ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে। বারভিডা বাণিজ্যিক যান হিসেবে ব্যবহৃত পিক আপ/ভ্যান ইত্যাদির শুল্ক কর সর্বনিম্ন স্তরে নির্ধারণ এবং জীবন রক্ষাকারী বাহন অ্যাম্বুলেন্স আমদানির ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে। এছাড়াও রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে স্বাস্থ্যকর ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ১৬-৪০ বা তদুর্ধ্ব আসনের বাস আমদানিতে বারভিডা শুল্ক-করের সুষম বিন্যাস দাবি করেছে।

দেশে নতুন গাড়ি শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা বিষয়ে বারভিডা বলেছে যে, দেশে বর্তমানে গাড়ির বাজার ২৫-৩০ হাজার। দেশে সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেনী সৃজনের দ্বারা অভ্যন্তরীণ বাজার ১ লক্ষ ইউনিট হলেই দেশে নতুন গাড়ির শিল্প প্রতিষ্ঠা যুক্তিযুক্ত হবে। দেশে গাড়ি সংযোজন শিল্প প্রতিষ্ঠা হতে পারে । তবে সরকারের নতুন গাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে যেন সিকেডি (পড়সঢ়ষবঃব শহড়পশ ফড়হি) আমদানির মাধ্যমে কোন স্ক্রু ড্রাইভিং শিল্প প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা না নেয়া হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে বলে বারভিডা নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল জনাব রিয়াজ রহমান,সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ জনাব মো: সাইফুল ইসলাম (সম্রাট), ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ জনাব ফরিদ আহামেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ জগলুল হোসেন, ট্রেজারার জনাব মো: সাইফুল আলম, জয়েন্ট ট্রেজারার জনাব হাফিজ আল আসাদ, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জনাব জোবায়ের রহমান, পাবলিকেশন এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি জনাব মো: আব্দুল আউয়াল, প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি জনাব এস এম মনসুরুল করিম (লিংকন), কালচারাল সেক্রেটারি জনাব মো: গোলাম রব্বানি (শান্ত) উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের কার্যনিবাহী সদস্য জনাব এ. বি. সিদ্দিক (আবু), জনাব আখতার হোসেন মজুমদার, পুনম শারমিন ঝিলমিল, জনাব মো: হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া এবং মি. দিবাকর বড়ুয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত বারভিডা প্রেসিডেন্ট এর বক্তব্য নিম্নরূপ :

সম্মানিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ
আপনারা অনেকেই হয়তো অবগত আছেন যে প্রায় ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে বারভিডা সদস্যবৃন্দ বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে জাপানের বিশ্বখ্যাত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দেশের পরিবহন খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করে চলেছে। আমরা দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠীকে স্বস্তি (পড়সভড়ৎঃ) এবং নিরাপদ বাহন সরবরাহ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের এই ৪ দশকের পথ চলায় এ খাতের ভূমিকা এবং আমাদের নানা কার্যক্রম গ্রাহক ও নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরতে আপনাদের অসামান্য সহযোগিতা পেয়েছি। দেশের সকল গণমাধ্যমের প্রতি এজন্য আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা

আপনারা হয়তো অবগত আছেন যে –
বারভিডা দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন। দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণন খাতে কয়েক হাজার কোটি টাকার স্থানীয় বিনিয়োগ রয়েছে।

বর্তমানে বারভিডার সদস্য সংখ্যা ১২০০ এরও বেশি। বারভিডার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশে লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান (ডিলারশিপ, শো-রুম, ওয়ার্কশপ ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইত্যাদি) প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে।
বারভিডা সরকারকে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে থাকে।

বারভিডা সদস্যবৃন্দ আয়কর, ভ্যাট এবং রোড ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে দেশে একটি ব্যাপকভিত্তিক করকাঠামো তৈরিতে অবদান রেখে চলেছে।

রিকন্ডিশন্ড মোটরযান ব্যবসাকে নির্ভর করে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি ও বীমা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে।

মোংলা সমুদ্র বন্দর প্রায় ৬০ বছর অকার্যকর অবস্থায় পড়ে থাকার পর সরকারের আহ্বানে ২০০৯ সাল থেকে বারভিডা সদস্যবৃন্দ এ বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি সূচনা করে বন্দরটিকে সচল, কার্যকর ও সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য উৎসে পরিণত করেছেন।

বারভিডার ব্যবসা কার্যক্রম
আমরা বারভিডার সদস্যবৃন্দ যেভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছি তা এক ধরনের সোশাল বিজনেস, যেখানে কোন মনোপলি নেই। দেশের পরিবহন খাতের সুষ্ঠু বিকাশে সহযোগিতা করার সাথে সাথে গাড়ি আমদানি ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় বিপুল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে একটা বড় অর্থনীতি জড়িত। এ ব্যবসায় ভোক্তাদের বহুমুখী চাহিদা পূরণ হচ্ছে এবং সরকারও রাজস্ব প্রাপ্তির মাধ্যমে সুফল পাচ্ছে।
অপরদিকে দেশে নতুন গাড়ি আমদানি ও বিক্রির ক্ষেত্রে গুটিকয় ডিলার থাকায় এক্ষেত্রে মনোপলি কাজ করছে। রিকন্ডিশন্ড বলা হলেও আমাদের আমদানি করা গাড়িগুলি প্রায় নতুন। জাপানের হোম মডেলের এসব গাড়ি

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির, যার কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

ক. টেকসই ও পুনঃবিক্রয় মূল্য : বিশ্বসেরা প্রযুক্তিসম্পন্ন হওয়ায় জাপানে উৎপাদিত এসব গাড়ি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় এবং ১৫-২০ বছর ব্যবহার করার পরও পুনঃবিক্রির (ৎবংধষব াধষঁব) সময় এসব গাড়ির ভাল মূল্য পাওয়া যায়।

খ. খুচরা যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা ও সুলভ মূল্য : বাংলাদেশে জাপানি টয়োটা, নিশান, হোন্ডা, মিতসুবিশি ইত্যাদি ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ সহজলভ্য এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়, যা গাড়ির রক্ষনাবেক্ষণ সহজ করে দেয়।
গ. জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব : জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ায় এসব গাড়ির রক্ষনাবেক্ষণ ব্যয় তুলনামুলকভাবে অনেক কম। উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন জাপানি গাড়িগুলো পরিবেশের জন্যও যত্নশীল।

বাসযোগ্য ধরিত্রী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে কার্বন নিঃসরন কমিয়ে আনার যে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস তাঁর রচিত ‘অ্যা ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’ বইতে জিরো নেট কার্বন নিঃসরন এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সিংগাপুর, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশ কার্বন নিঃসরন হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। সিংগাপুর আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের সকল যাত্রিবাহী গাড়ি হাইব্রিড এ এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের গাড়ি বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য যে আমরা গত ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে জাপান থেকে বিশ্বসেরা প্রযুক্তির যেসব গাড়ি আমদানি করছি পরিবেশের দিকে খেয়াল রেখেই সেগুলোতে নিঃসরন নিয়ন্ত্রণে ক্যাটালিটিক কনভার্টার নামে বিশেষ ডিভাইস সংযুক্ত থাকে। আমাদের আমদানিকৃত যানগুলোর মাধ্যমে দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা যত্নবান রয়েছি। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি যে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে ব্যক্তিগত ব্যবহারের সকল যান হাইব্রিড গাড়ি হতে পারে। জীবাশ্ম জ্বালানির দূষণ থেকে মুক্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সবুজ বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ব্যবসায় মন্দা
২০২০-২১ সময়কালে করোনা মহামারির কারনে বারভিডা সদস্যবৃন্দের ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে বৈদেশিক মুদ্রার স্বল্পতা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং উৎপাদনকারী দেশে গাড়ির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করা গাড়িগুলোর দাম দেশের বাজারে অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পায়। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের সামর্থের বাইরে চলে যাওয়ায় গত কয়েক বছরে দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিক্রি লক্ষ্যনীয় হারে কমে গেছে।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট প্রসঙ্গে –
সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং আমদানি নীতি সহজীকরণের মাধ্যমে আমাদের বাবসা পরিচালনা সহজ করার লক্ষ্যে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে আমাদের খাত থেকে যেসব প্রস্তাবনা করা হয়েছে সে বিষয়গুলোতে একটু আলোকপাত করছি –

ক. হাইব্রিড গাড়ির উপকারিতা
আমরা জীবাশ্ম জ্বালানি (ঋড়ংংরষ ঋঁবষ) থেকে ক্রমেই হাইব্রিড গাড়ি ব্যবহারের দিকে যাচ্ছি, যেখানে মূল্যবান জ্বালানি সাশ্রয় হয়।হাইব্রিড প্রযুক্তির মোটরগাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিসিভিত্তিক যে শুল্ক-করের হার বিদ্যমান আছে, উৎপাদক এবং ব্যবহারকারী অন্য দেশসমূহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সিসি স্ল্যাবের সংস্কার এবং পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আমরা বাজেট প্রস্তাবনায় তাই জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্ল্যাব ও সম্পুরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করেছি, যাতে এসব গাড়ি আমদানি সহজলভ্য হয়, দেশের ভোক্তাশ্রেণী উপকৃত হন এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়।

খ. পরিবহন খাতে মাইক্রোবাস এর অসীম গুরুত্ব
দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কর্মী পরিবহন, শিক্ষার্থী পরিবহন এবং পর্যটন শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় শহরগুলো থেকে শুরু করে মফস্বল পর্যন্ত মাইক্রোবাসের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এ শ্রেণীর গাড়িগুলো স্বাস্থ্য সেবা খাতে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাইক্রোবাসগুলোর চালকদের কর্মসংস্থান এবং লক্ষ লক্ষ পরিবারের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হচ্ছে।

আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মাইক্রোবাসকে গণপরিবহন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন শ্রেনীর মাইক্রোবাসের শুল্ক হ্রাস করা হয়। কিন্তু সম্পুরক শুল্ক উচ্চ হওয়ায় আমদানিকৃত মাইক্রোবাসগুলোর অত্যধিক দাম পড়ে যাচ্ছে। ফলে মাইক্রোবাসের সম্ভাব্য ক্রেতাগণ নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, বিক্রি হ্রাস পাচ্ছে এবং সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশের মহাসড়কে যেখানে প্রতিদিন অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ থ্রি হুইলার দূর্ঘটনায় অসংখ্য যাত্রীর প্রাণহানি ঘটছে সেখানে নিরাপদ গনপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাসের শুল্ক হ্রাস সময়ের দাবি।

বারভিডা মাইক্রোবাস আমদানির ক্ষেত্রে ফিক্সড ডিউটি চায়।

গ. দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের প্রেক্ষাপট
জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানির বিষয়ে গত কয়েক বছরে দেশে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মোটরযানে ২০৩০ সাল নাগাদ ফসিল ফুয়েল এর ব্যবহার কমে আসার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইদানিং যেসব ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানি হচ্ছে তার মধ্যে কিছু নিম্নমানের গাড়িও আসছে।

দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি, হাইব্রিড গাড়ি, প্লাগ-ইন হাইব্রিড এবং হাইড্রোজেন গাড়ি আমদানি ও ব্যবহারের বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক এবং ব্যাপকভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন।

ঘ. মানসম্পন্ন পিক আপ, ট্রাক ও ভ্যান আমদানির প্রয়োজনীয়তা
বাণিজ্যিক যান হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে, কৃষি পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের পণ্য নিজস্ব পিক আপ/ট্রাকে বাজারজাত করা হলে পণ্যের পরিবহন ব্যয় এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কিন্তু উচ্চ শুল্ক ও কর থাকায় দেশে জাপানের মানসম্পন্ন পিক আপ, ট্রাক এবং ডেলিভারি ভ্যান কম আমদানি হচ্ছে। অপরদিকে ভারতের নিম্নমানের ও চলাচল অনুপযুক্ত পিক আপ, ট্রাক আমদানি হওয়ায় দেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।

দেশের বিকাশমান বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের কাছে স্বল্পমূল্যে সরবরাহের জন্য পিক আপ, ভ্যান আমদানির শুল্ক হার সর্বনিম্ন স্তরে নির্ধারণ করা জরুরি।

ঙ. অ্যাম্বুলেন্স আমদানির ভ্যাট প্রত্যাহার
অ্যাম্বুলেন্স জীবন রক্ষাকারী একটি অত্যন্ত জরুরি বাহন। অথচ এই বাহন আমদানিতে শুল্ক এবং ১৫% ভ্যাট প্রদান করতে হয়। আমরা অ্যাম্বুলেন্স আমদানিতে ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি।

চ. সড়কে মানসম্পন্ন যাত্রিবাহী বাস এর প্রয়োজনীয়তা
দেশে অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়ন ঘটলেও রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর গণপরিবহন ব্যবস্থা চরম হতাশাজনক। স্বাস্থ্যকর,সুদৃশ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে শহরে মানসম্পন্ন যাত্রিবাহী বাস পরিচালনা সময়ের দাবি। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন বা নিউজিল্যান্ড এর মতো কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে মানুষ গণপরিবহন ব্যবহারে আগ্রহী হবে এবং সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতা হ্রাস পাবে। এটি নগরীর যানযট নিরসনে কার্যকর ভ’মিকা রাখবে। ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা ও কর্মঘন্টা বৃদ্ধি পাবে।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় তৈরি জাপানি বাসগুলোর দাম অত্যধিক বেশি বলে রাজস্ব নীতি সহায়ক না হওয়ায় এ ধরনের বাস আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। ১৬-৪০ বা তদুর্ধ্ব আসনের বাস আমদানিতে আমরা শুল্ক-করের সুষম বিন্যাস চাই।

নতুন গাড়ি, পুরনো গাড়ির চাহিদা
দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে গত কয়েক বছর ধরেই নতুন গাড়ি র্নিমাণ শিল্প স্থাপনের বিষয়টি জোরেসোরে আলোচনায় আসছে। তবে দেশে নতুন গাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাস্তবায়নে গাড়ির বাজার সম্পসারণ প্রয়োজন। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা) মতে গাড়ির অভ্যন্তরীণ বাজার ১ লক্ষ ইউনিট হলেই দেশে নতুন গাড়ির শিল্প প্রতিষ্ঠা যুক্তিযুক্ত হবে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের গাড়ির বাজার বছরে ২৫-৩০ হাজার।

গত প্রায় ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের মাধ্যমে দেশে যে গাড়ি সংযোজন শিল্প পরিচালিত হচ্ছে তার অভিজ্ঞতা সন্তোষজনক নয়। সরকারের নতুন গাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে যেন সিকেডি (পড়সঢ়ষবঃব শহড়পশ ফড়হি) আমদানির মাধ্যমে কোন স্ক্রু ড্রাইভিং শিল্প প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা না নেয়া হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। ক্রেতারাও তাদের কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘ স্থায়িত্বের গাড়ি কিনতে চান।

নতুন ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কায়ন মূল্যে বৈষম্য দূরীকরণ
আমরা মনে করি, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে গ্রাজুয়েশনের এই উল্লেখযোগ্য সময়ে দেশের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী গাড়ির বাজার সম্প্রসারণের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তার সদ্ব্যবহারে রিকন্ডিশন্ড ও নতুন গাড়ির বিদ্যমান শুল্ক বৈষম্য দূরীকরণ খুবই জরুরি।

আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে আমরা ন্যূনতম ১২৯% এবং সর্বোচ্চ ৮২৬% শুল্ক প্রদান করছি। জাপান সরকার প্রকাশিত ইয়োলো বুকে প্রদর্শিত নতুন মূল্যের সাথে জাপানের অভ্যন্তরীণ বাজারের খুচরা বিক্রেতার ডিলার কমিশন ও স্থানীয় কর বাবদ সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ যুক্ত করা আছে। তাই জাপান থেকে আমরা সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরনো যেসব গাড়ি আমদানি করে থাকি সেসবের ক্ষেত্রে নতুন মূল্য হতে ২০ শতাংশ বিয়োজন করে রপ্তানিযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করা ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু বাস্তবে ইয়োলো বুকে উল্লিখিত নতুন মূল্য থেকে কোন ডিলার কমিশন বিয়োজন ছাড়াই বছরভিত্তিক অবচয় প্রদান করা হচ্ছে। আবার যে ব্যবসায়ীবৃন্দ দেশে নতুন গাড়ি আমদানি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০% ডিসকাউন্ট দিয়ে শুল্ক মূল্য নির্ধারণ করে শুল্ক-কর ধার্য করা হচ্ছে। এটি একটি অন্যয্য ও বৈষম্যমূলক পদ্ধতি এবং কাস্টম আইন ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। শুল্কায়ন মূল্যে (ঈঁংঃড়সং ঠধষঁধঃরড়হ) এই চরম বৈষম্যের ফলে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি পরে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতা কমে যাচ্ছে, আমদানি হ্রাস পাচ্ছে এবং এ খাতের ব্যবসায়ীবৃন্দ মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ছেন।

বিআরটিএ’র গাড়ি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম
আমাদের গাড়ি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। অবশ্য বিআরটিএ’র গাড়ি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম নিয়ে জনগনের অভিযোগ ও অসন্তোষ রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে যেমন যুক্তরাজ্যে ড্রাইভারস এন্ড ভেহিক্যাল্স লাইসেন্সিং অথরিটি (ডিভিএলএ) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে যা ডিলারদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, সেখানে ক্রেতাকে যেতে হয় না। বিআরটিএ’তে আমরা জনবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব এমন উদ্যেগ চাই। আমরা বারভিডা থেকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
এছাড়াও বর্তমানে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এবং নতুন গাড়ির ফি’র বৈষম্য রয়েছে যা জরুরিভিত্তিতে নিরসন করা দরকার।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি নতুন গাড়ির চেয়ে ২৭,৫০৮.০০ থেকে ৫৩,৯৫৮.০০ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে।
এছাড়াও আমাদের আমদানিকৃত গাড়িগুলো বিক্রির সময় ‘দ্বৈত রেজিস্ট্রেশন’ করতে হয়। জরুরিভিত্তিতে এ প্রথাটি বিলুপ্ত করা দরকার।

 

আমাদের গাড়ি আমদানি কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দর এবং মোংলা বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। গাড়ি আমদানি এবং ছাড়করণ প্রক্রিয়ায় অব্যাহত সহযোগিতা প্রদানের জন্য আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস ও মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগকে তাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

কর কাঠামো সংস্কার

বারভিডার গাড়ি আমদানি ব্যবসা পরিচালনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কার্যকর সহযোগিতার জন্য আমরা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তবে আমরা দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছি যে, এনবিআর যেন মোটরযান আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি কর কাঠামো এবং শুল্ক-করের হার নির্ধারণ করে দেয়। এতে করে আমাদের সেক্টর হতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পুরণের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে পারবেন এবং গ্রাহকদের অনিশ্চয়তা দূর হবে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে গ্র্যাজুয়েশন নির্ধারিত হবে। দীর্ঘদিনের অপশাসন থেকে মুক্তির পর আমরা যে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথে যাত্রা শুরু করেছি তাতে একটি সমৃদ্ধ ও সম্মানজনক সমাজ কাঠামোয় গাড়ির বাজার সম্প্রসারণ হওয়া প্রয়োজন। উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় রেখে দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেনী সৃজনের সুচিন্তিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাস এবং মাইক্রোবাস এর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে গাড়ির মূল্য মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এর ফলে বাজার সম্প্রসারণের সাথে সাথে সরকারের রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জপূর্ণ পরিস্থিতিতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজন। অর্থনৈতিক কার্যক্রম ত¦রান্বিত করতে তথা বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কাঙ্খিত রাজস্ব আহরণ আবশ্যক। মানসম্পন্ন পরিবহন সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমরা সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে যেতে চাই।

 

 

Facebook Comments Box

Posted ২:০০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

sharebazar24 |

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১
মো. সিরাজুল ইসলাম সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

৬০/১, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

হেল্প লাইনঃ 01742-768172

E-mail: sharebazar024@gmail.com