
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ | 22 বার পঠিত | প্রিন্ট
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে “শেয়ারবাজারবান্ধব ও সময়োপযোগী” বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেছেন, “সরকার শেয়ারবাজারের উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক ও আন্তরিক মনোভাব দেখিয়েছে”, যা বর্তমান সংকটকালেও বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনবে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য উঠে আসে।
রাশেদ মাকসুদ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের অর্থনীতি একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে। এই কঠিন সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফলভাবে বাজেট ও অর্থ বিল অনুমোদন করেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় একটি পদক্ষেপ।”
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের বিকাশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য দিকনির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—
বহুজাতিক কোম্পানি ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন দেশীয় কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি,
বিদেশি পরামর্শক নিয়োগের পরিকল্পনা,
বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর ব্যবস্থা,
অসাধু চক্রের দমন, এবং
শেয়ারবাজারকে ভবিষ্যৎ অর্থনীতির কেন্দ্রে রূপান্তরের রূপরেখা।
বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান, বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ৫% থেকে বাড়িয়ে ৭.৫% করা হয়েছে, যা দেশি-বিদেশি গুণগতমানসম্পন্ন কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আসতে উৎসাহিত করবে।
ব্রোকারেজ হাউসের সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর উৎসে কর ০.০৫% থেকে কমিয়ে ০.০৩% করা হয়েছে, যা বাজারে তারল্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ প্রবাহে সহায়ক হবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭.৫% থেকে কমিয়ে ২৭.৫% করা হয়েছে, যা তাদেরকে শেয়ারবাজারে আরও সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দেবে।
বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রিতে অর্জিত মূলধনী মুনাফার উপর করহার ৩০% থেকে কমিয়ে ১৫% করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় রকমের স্বস্তির বার্তা বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
বিএসইসি বিনিয়োগকারী স্বার্থে বিও (BO) অ্যাকাউন্টের বার্ষিক ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া, গ্রাহক হিসাব থেকে অর্জিত সুদের ২৫% ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডে (IPF) জমা হবে, যা ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ আরও বলেন, “এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডিভিডেন্ড আয়ে কর মওকুফ এবং এক লক্ষ টাকার বেশি আয়ে ১৫% কর ধার্য করার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ক্ষুদ্র ও মধ্যম বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।”
বিএসইসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যে উঠে এসেছে সরকারের শেয়ারবাজার বান্ধব মনোভাব এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে নেওয়া বাস্তব পদক্ষেপসমূহ। বাজেট সংশ্লিষ্ট এই কর সুবিধা, নীতিগত দিকনির্দেশনা ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং বাজারে নতুন গতির সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Posted ১০:৪২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.