
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ | 65 বার পঠিত | প্রিন্ট
জাতীয় বাজেট ঘোষণার পরদিনেই দেশের শেয়ারবাজার আবারও নেতিবাচক ধারায় ফিরে গেছে। তিন কার্যদিবসের সাময়িক উত্থানের পর আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক দিনশেষে ২৫ পয়েন্ট কমে গেছে, যা বাজারে নতুন করে অনিশ্চয়তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
সকালেই লেনদেন শুরু হয় নেতিবাচক প্রবণতায়। এক পর্যায়ে সূচকে ২০ পয়েন্টের মতো উত্থান দেখা গেলেও দুপুর ১২টার পর থেকে বাজার আবারও নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ডিএসইর সব সূচকই নিম্নমুখী অবস্থানে দিন শেষ করে।
লেনদেনের পরিমাণেও আজ বড় ধস দেখা যায়। গতকাল (২ জুন) ডিএসইতে মোট ২৭৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২২৯ কোটি টাকায়, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।
আজ (০৩ জুন) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪.৭২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৬৪.৭৯ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ৬.৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭.৩১ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৫৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৪৬.২১ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯৩টির দর বেড়েছে, ২৩৯টির দর কমেছে এবং ৬২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে আজ মোট ২২৯ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অবশ্য ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। সিএসইর ৫টি সূচকের মধ্যে ৩টি সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও লেনদেনের দিক থেকে সেখানেও কমতির প্রবণতা ছিল। এতে দেশের পুঁজিবাজারে সামগ্রিকভাবে দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আজ ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন সিএসইতে ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ৮৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩১টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২.৭৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫.৩৭ পয়েন্টে। আগেরদিন সূচক সিএএসপিআই ৩০.৯৬ পয়েন্ট বেড়েছিল।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কিছু ইতিবাচক প্রণোদনা থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন এবং সুস্পষ্টতা ছিল না। বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো সরাসরি সুবিধা না থাকায় বাজারে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়নি।
বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, বিনিয়োগকারীরা হয়তো আরও জোরালো সংস্কারমূলক উদ্যোগ বা কর সুবিধা আশা করছিলেন, যা বাজেটে স্পষ্টভাবে না থাকায় হতাশা তৈরি হয়েছে। এ কারণে বাজেট-পরবর্তী দিনের বাজার প্রত্যাশিত গতিপথে চলতে পারেনি।
Posted ৬:২০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.