নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | 9796 বার পঠিত | প্রিন্ট
২০২১-২০২২ অর্থবছরে ডিভিডেন্ড বাড়তে পারে প্রকৌশল খাতের ১৭টি কোম্পানির এবং কমার সম্ভাবনা রয়েছে ১৩টি কোম্পানির। কারণ সর্বশেষ প্রকাশিত (জানুয়ারি’২২-মার্চ’২২) তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৭ কোম্পানির আয় বাড়লেও কমেছে ১৩টির। একই সময়ে লোকসানে নিমজ্জিত ৮টি কোম্পানি।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির। যার মধ্যে ৩৮টি কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ৪টি কোম্পানি যথা সময়ে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে আয় বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- আফতাব অটোমোবাইলস, আনোয়ার গালভানাইজিং লিমিটেড, বিডি বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড, বাংলাদেশ অটো কারস লিমিটেড, বিডি ল্যাম্পস লিমিটেড, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিকস লিমিটেড, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত, ইফাদ অটোস লিমিটেড, কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড, কেডিএস এক্সেসরিজ, মন্নু অ্যাগ্রো, নাহী অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড, ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড, ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড এবং রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। তৃতীয় প্রান্তিকে আয় কমে যাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড, বিএসআরএম স্টীল লিমিটেড, বিএসআরএম স্টীল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড, ডমিনেজ স্টিল লিমিটেড, গোল্ডেন সন, মীর আক্তার, নাভানা সিএনজি লিমিটেড, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড, এস আলম কোল্ড স্টোরেজ, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড, এসএস স্টিল লিমিটেড এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
আয় বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে-
আফতাব অটোমোবাইলস : ৩১ মার্চ, ২০২২ সমাপ্ত ৩য় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩১ পয়সা।
আনোয়ার গালভানাইজিং লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে এক টাকা ৫৬ পয়সা।
বিডি বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৫৮ পয়সা।
বাংলাদেশ অটো কারস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৩ পয়সা।
বিডি ল্যাম্পস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক টাকা ৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে এক টাকা ৫৯ পয়সা।
বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিকস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৬ পয়সা।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬০ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩০ পয়সা।
দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে একটাকা ৬৪ পয়সা।
জিপিএইচ ইস্পাত: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩৮ পয়সা।
ইফাদ অটোস লিমিটেড : চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৭৭ পয়সা।
কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১ পয়সা।
কেডিএস এক্সেসরিজ: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৪ পয়সা, গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৬০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৪ পয়সা।
মন্নু অ্যাগ্রো: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬১ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৪ পয়সা।
নাহী অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৬৭ পয়সা।
ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬২ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৭ পয়সা।
ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৩ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৯ পয়সা।
রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯২ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৫ পয়সা।
আয় কমে যায় কোম্পানিগুলোর মধ্যে-
বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩৭ পয়সা।
বিএসআরএম স্টীল লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৭৪ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৯৪ পয়সা।
বিএসআরএম স্টীল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯০ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬ টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা।
ডমিনেজ স্টিল লিমিটেড : চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ২৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৯ পয়সা।
গোল্ডেন সন: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ১২ পয়সা, গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩৭ পয়সা।
মীর আক্তার: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৮ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে এক টাকা।
নাভানা সিএনজি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০৩ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ০১ পয়সা।
কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ: তৃতীয় প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২১ পয়সা।
রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৮ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ০৭ পয়সা।
এস আলম কোল্ড স্টোরেজ: তৃতীয় প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৪৭ পয়সা।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড : প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২২-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৯১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৯০ পয়সা।
এসএস স্টিল লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ০৬ পয়সা।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৩৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১২ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৫৮ পয়সা।
শেয়ারবাজার২৪
Posted ৬:৫৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.