নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | 135 বার পঠিত | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দিনশেষে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াল ৩০.৫৯ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে এই অঙ্ক দাঁড়ায় ২৫.৭৫ বিলিয়ন ডলারে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট
গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করায় দেশের রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ৩০.৩০ বিলিয়ন ডলারে। তখন বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২৫.৩৯ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটি নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব রয়েছে, যা শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয় তবে প্রকাশ করা হয় না।
বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা
বিশ্বমানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে বাংলাদেশ সীমান্তরেখা অতিক্রম করে কিছুটা স্বস্তির জায়গায় রয়েছে।
রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে ডলার আসে; আর আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ, প্রবাসী কর্মীদের পারিশ্রমিক, শিক্ষা ও ভ্রমণ খরচে ডলার ব্যয় হয়।
রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ
সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি; বরং উল্টো বাজার থেকে ডলার কিনেছে।
৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ব্যাংক থেকে কেনা হয় ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
২ সেপ্টেম্বর আটটি ব্যাংক থেকে কেনা হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্স প্রবাহ
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৭.৭৯ কোটি ডলার (৩০,২৩৯ কোটি টাকা)। আগস্টে এসেছে ২৪২.২০ কোটি ডলার (২৯,৫৪৮ কোটি টাকা)।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চে রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। পুরো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬.৮% বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স:
জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার
আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার
সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার
অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার
নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার
ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার
জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার
ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার
মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার
এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার
মে: ২৯৭ কোটি ডলার
জুন: ২৮২ কোটি ডলার
রিজার্ভের ইতিহাস
২০১৩ সালের জুন: ১৫.৩২ বিলিয়ন ডলার
২০১৮ সালের জুন: ৩৩.৬৮ বিলিয়ন ডলার
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর: প্রথমবারের মতো ৩৯ বিলিয়ন ডলার
২০২০ সালের অক্টোবর: ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম
২০২১ সালের ২৪ আগস্ট: সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪৮.০৪ বিলিয়ন ডলার
এরপর থেকেই ডলার সংকট দেখা দেওয়ায় রিজার্ভ ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে।
Posted ৯:০৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.