
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ | 181 বার পঠিত | প্রিন্ট
শেয়ারবাজারে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ ৬০টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির কাছে রোডম্যাপ চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত থাকতে হলে কোম্পানির কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। এই শর্ত পূরণ না করলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসএমই বা অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (ATB) স্থানান্তর করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।
ঈদুল আজহার ছুটির আগেই বিএসইসি এসব কোম্পানিকে চিঠি দিয়ে মূলধন বৃদ্ধির পরিকল্পনা জমা দিতে বলেছে। কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, “স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলো বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এমন কোম্পানিকে মূল বোর্ডে রাখা যাবে না।”
তিনি আরও জানান, এসব শেয়ার সহজেই কারসাজির শিকার হয়, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মুখে ফেলে। তাই কোম্পানিগুলোকে প্রকৃত তহবিল সংগ্রহ করে আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে হবে।
বিএসইসি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, স্টক ডিভিডেন্ড ইস্যু করে মূলধন বৃদ্ধি করা কোনো কার্যকর বা গ্রহণযোগ্য উপায় নয়। এটি কেবল শেয়ারের সংখ্যা বাড়ায়, কিন্তু কোম্পানির প্রকৃত মূলধন বাড়ায় না।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিএসইসি ৬৪টি কোম্পানিকে একইভাবে রোডম্যাপ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সে সময় কমিশন একটি কমিটি গঠন করে কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা যাচাই এবং কার্যকর সমাধানের জন্য সুপারিশ চেয়েছিল।
বর্তমানে, এই ৬০ কোম্পানির মধ্যে—
১১টির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকার নিচে,
১৫টির ১০ কোটির নিচে,
২১টির ২০ কোটির নিচে,
বাকিগুলোর ৩০ কোটির নিচে।
এর মধ্যে কিছু কোম্পানি ভালো পারফর্ম করলেও অনেকেই লোকসানে আছে বা উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। তা সত্ত্বেও কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা বাজারে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক উদ্যোক্তা ও পরিচালক ইচ্ছাকৃতভাবে মূলধন বাড়াতে আগ্রহ দেখান না। কারণ, তারা স্বল্প মূলধনের শেয়ারে সহজে দর কারসাজি করতে পারেন এবং অল্প সময়ে লাভবান হন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিএসইসির কঠোর অবস্থান বাজারের স্বচ্ছতা এবং বিনিয়োগ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা।
Posted ৪:২২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.