
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ | 109 বার পঠিত | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে “বিনিয়োগবান্ধব ও বাজারপূর্বপেক্ষিত সম্মত” আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেছেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সরকার ইতিবাচক ও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে, যা বাজারে দীর্ঘমেয়াদি আস্থার বার্তা দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, বাজেট বক্তৃতায় শেয়ারবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন, তা বাজার কাঠামো শক্তিশালীকরণে ভূমিকা রাখবে। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—
বহুজাতিক ও শীর্ষস্থানীয় দেশীয় কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি ত্বরান্বিত করা,
আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগের পরিকল্পনা,
বাজার শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ,
নবায়নযোগ্য বাজার কাঠামোর উপর গুরুত্ব,
এবং শেয়ারবাজারকে অর্থনীতির কেন্দ্রে পরিণত করার রূপরেখা।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে বাজেটে বেশ কয়েকটি কর প্রণোদনা রাখা হয়েছে, যা বাজারে তারল্য বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ দেবে।
তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ৫% থেকে বাড়িয়ে ৭.৫% করা হয়েছে, যা তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য বড় সুবিধা।
ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন কর ০.০৫% থেকে কমিয়ে ০.০৩% করা হয়েছে।
মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ১০% কমিয়ে ২৭.৫০% করা হয়েছে।
এছাড়াও, তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে মূলধনী মুনাফার উপর করহার ৩০% থেকে ১৫%-এ কমিয়ে আনার ঘোষণা পূর্বেই কার্যকর হয়েছে এবং এই সুবিধা বজায় রাখা হয়েছে চলতি বাজেটেও।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় বিএসইসি কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে:
বিও (Beneficiary Owner) অ্যাকাউন্টের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে।
সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে প্রাপ্ত সুদের ২৫% এখন ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডে (IPF) জমা হবে, যা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা জোরদার করবে।
বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বিএসইসি এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডিভিডেন্ডে কর মওকুফ এবং তার অধিক ডিভিডেন্ডে ১৫% চূড়ান্ত কর নির্ধারণ করার বিষয়ে সরকারকে পুনরায় বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, “এই বাজেট প্রমাণ করে সরকার শেয়ারবাজারের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিচ্ছে। নীতিগত দৃঢ়তা ও বাস্তবসম্মত কর সুবিধা শেয়ারবাজারের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “প্রণোদনা এবং শৃঙ্খলা—এই দুটি পথেই কাজ করছে সরকার, যার মাধ্যমে বাজারে আস্থা ফিরবে এবং বিনিয়োগ পরিবেশ হবে আরও স্থিতিশীল।”
Posted ৯:১৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.